“স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব” অনুচ্ছেদ রচনা কর ।
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people's questions & connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
acimasud
বইকে বলা হয় জ্ঞানের আধার। বই জ্ঞান ও বিদ্যার ধারক ও বাহক। বইয়ের মাঝে লিপিবদ্ধ থাকে পৃথিবীর তাবত জ্ঞান। আমরা বই পড়ে যাবতীয় সকল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারি। মানুষের শরীরের কোন কিছু জানার প্রয়োজন? তার জন্য আছে জীব বিজ্ঞান। তেমনি পৃথিবীর সকল তথ্য পাওয়া যাবে ভূগোল বইতে। যুগে যুগে বইয়ের মাধ্যমেই জ্ঞান প্রসারিত হয়েছে।
বই পড়ে অজানা অনেক কিছু জানা যায়। ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্থনীতি, ধর্ম বিষয়ক সকল জ্ঞানই বইতে পাওয়া যায়। বই ছাড়া কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। তাই শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠ্যবই নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরীসিম। কথায় আছে একটা বই দশজন বন্ধুর সমান। বই মানুষকে সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত করে গড়ে তুলে।
ছো য়া দ
বই’য়ের ভেতরে যে জগতের বর্ণনা থাকে আমরা বই পড়ার মধ্যে দিয়ে সেই জগতটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারি । কখনো কখনো বই আমাদের একটি ছোট্ট ভ্যাকেশনে নিয়ে যায় । কারন পড়ার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে পারি ।
বই-এই ভিতরে থাকা নতুন জগতের নতুন চিত্র , নতুন বর্ণনা নতুন নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারি । ফলে আমাদের মনন জগতের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বই আমাদের মস্তিষ্কের নতুন নতুন কানেকশন তৈরি করে , ফলে আমাদের নতুন করে জানার আগ্রহ , মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ভাষার বই পড়লে আমাদের ঝুলিতে নতুন নতুন শব্দের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে । লেখক যখন বই লেখেন তিনি অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকেন, শব্দ নিয়েও তাঁর গবেষণা কম থাকে না। আর আমরা বইপড়ার মাধ্যমে সেই শব্দগুলি সহজেই শিখে নিতে পারি ।
ফ’লে কথা বলার সময় সেই শব্দগুলি ব্যবহার করে আমরা আমাদের বাচনভঙ্গিকে স্পষ্ট , সুন্দর ও তাৎপর্যমন্ডিত করতে পারি । আর যে ব্যক্তি অনেক বই পড়ে থাকেন তিনি খুব সহজেই অন্যের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন ।
এ’তে ব্যক্তিজীবন উন্নত হয় এবং আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় । নতুন ভাষা শিখতেও বই পড়া আবশ্যক। তাইতো, স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।